Haemorrhoid বা অর্শ
অর্শ বা পাইলস হলো পায়ূ পথের রক্তনালী ফুলে যাওয়া রোগ। মেডিকেল ভাষায় একে হেমোরয়েড বলা হয়। অর্শের লক্ষণগুলি হলো: মলত্যাগের সময় ব্যথা ছাড়াই রক্তপাত, মলদ্বার এলাকায় চুলকানি, পায়ূ এলাকায় ব্যথা বা অস্বস্তি, মলদ্বারের কাছে সংবেদনশীল বা বেদনাদায়ক পিণ্ডের উপস্থিতি, মলদ্বারের চারপাশে ফুলে যাওয়া.
অর্শ
অর্শের কারণগুলি হলো:
মলত্যাগের সময় চাপ,দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকাগ,র্ভাবস্থা,স্থূলতা,কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি।
অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ভাবে অর্শ দিতে পারে; তবে অনেকের মধ্যে এই দু’টির সমন্বয় দেখা যায়। জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে এতটা রক্তপাত আরও বিরল। সমস্যা দেখা দিলে অনেক লোকই বিব্রত বোধ করে এবং কেবল রোগের যথেষ্ট বিস্তারের পরই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে।
অভ্যন্তরীণ
অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস হলে সচরাচর অন্ত্রের আন্দোলনের আগে বা পরে বেদনাহীন, উজ্জ্বল লাল রেকটাল ব্লিডিং (মলদ্বারে রক্তপাত) হতে পারে।মল রক্ত দ্বারা আবৃত থাকতে পারে, যে অবস্থাকে হেমাটোকেজিয়া বলে।
অভ্যন্তরে হলে এমন
এক্ষেত্রে টয়লেট পেপারে রক্ত দেখা যেতে পারে বা টয়লেটেও রক্তের ফোঁটা ঝরতে পারে। মলের রঙ সচরাচর স্বাভাবিক হয়। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে রয়েছে শ্লৈষ্মিক স্রাব, মলদ্বারের চারদিকের অংশ পায়ুপথে বেরিয়ে আসা, চুলকানি, ও ফেসাল ইনকনটিনেন্স (পায়ুপথে গ্যাস বা মল নির্গমনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণহীনতা)। কেবল থ্রমবোজড বা রক্তনালীতে গঠিত হলে বা কলাবিনষ্টির ক্ষেত্রেই অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস বেদনাদায়ক হতে পারে।
মলদ্বারের বাহিরে হলে
এমন দেখায়।
শুকনো অর্শের উপমাংসর চিকিৎসা:অর্শ্বরোগ শুকানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এমন বেশ কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে। অনেক চিকিত্সার মধ্যে অর্শ্বরোগের লক্ষণগুলি হ্রাস করা অন্তর্ভুক্ত যদি সেগুলি নিজেরাই শুকিয়ে না যায়। যদি ঘরোয়া প্রতিকারগুলি অর্শ্বরোগ থেকে মুক্তি না দেয়, তাহলে একজন জেনারেল সার্জনের সাথে পরামর্শ করার পরে, পাইলসের চিকিত্সার চেষ্টা করা উচিত।
হাল্কা গরম জলে বসে থাকা:
বাড়িতেই অর্শের চিকিৎসার উপায় হল গামলায় গরম জল ঢেলে নিয়ে তার ওপর বসা। এতে ফোলা কমতে পারে এবং অর্শের জ্বালা ভাবটাও কমতে পারে। কেউ কেউ গরম জলে আরও অনেক কিছু মেশান যাতে অর্শের লক্ষণগুলি আরও কমে। এই সব উপকরণের মধ্যে থাকতে পারে এক কাপ অ্যাপসাম সল্ট কিংবা আপেল সিডার ভিনেগার।
স্নো প্যাক:
পাইলসের ওপর বরফ কিংবা আইস প্যাক দিলে যন্ত্রণা ও ফোলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। হেমোরয়েডসে আইস প্যাক ব্যবহার করলে ব্যথা ভাবটা চলে গিয়ে জায়গাটা অসাড় হয়ে যেতে পারে। এবং সাময়িকভাবে ফোলা কমে যেতে পারে। চামড়া ও ত্বকের ক্ষতি আটকাতে হলে বরফটাকে ছোট তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে নিতে হবে। টানা ১৫ মিনিট আইস প্যাক নেওয়া যায়। এই প্রক্রিয়াটি প্রতি ঘণ্টায় চালিয়ে যেতে হবে।
উইচ হ্যাজেল:
জার্নাল অফ ইনফ্ল্যামেশনে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী,উইচ হ্যাজেল ঝোপের পাতায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ফোলা কমানোর গুণ রয়েছে। উইচ হ্যাজেলের পাতাক্ষত নিরাময় করে বলেও লোকে জানে। খাঁটি উইচ হ্যাজেলের পাতার রস তুলোয় মিশিয়ে অর্শের ওপর চেপে ধরলে অনেক উপসর্গ থেকেই উপশম পাওয়া যায়।
নারকেল তেল:
নারকেল একটা প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন ময়েশ্চারাইজার। হেমোরয়েডের উপসর্গের চিকিৎসায় এটা কাজে লাগে। হেমোরয়েডে নারকেল তেল লাগালে জ্বালা ও ফোলা দুটোই কমতে পারে।মলদ্বারে চুলকানির সম্ভাবনাও কমাতে পারে নারকেল তেল।
অ্যালো ভেরা বা ঘৃতকুমারী পাতা:
অ্যালো ভেরা বহু রকম সমস্যা মেটাতে কাজে লাগে। বায়োমেড রিসার্চ ইন্টারন্যাশনালের গবেষণা অনুযায়ী, এই পাতার রসে শরীরের ফোলা কমে এবং ক্ষত শুকাতেও সাহায্য করে। মলদ্বারে অ্যালো ভেরার রস লাগালে হেমোরয়েডসের কারণে সৃষ্টি হওয়া জ্বালা, চুলকানি ও ফোলা থেকে উপশম পাওয়া যায়।
অর্শের উপমাংস শুকিয়ে ফেলার ওষুধ:
যদি অর্শ সাধারণ চিকিৎসায় না সারে কিংবা ব্যথা খুব তীব্র হয়, তাহলে কড়া ডোজের ওষুধ কিংবা ক্রিমে অনেকটা আরাম হতে পারে।স্টেরয়েড নয়, এবং ফোলা আটকাতে পারে ।
Comments
Post a Comment