Skip to main content

হাঁটু ব্যথা

            হাঁটু ব্যথা 

কোমর থেকে পায়ের তালু পর্যন্ত অংশের মাঝামাঝি স্থানে এই হাটুর অবস্থান । এই জয়েন্টে

দাম বা রক্ত, বলগম বা শ্লেষ্মা, ছফরা বা পিত্ত এবং স‌ওদা বা অম্ল এই চার ধরনের মিযাজের মধ্যে থেকে এক বা একাধিক মিযাজের পরিবর্তন হয়ে ধাতুরসের পরিবর্তন ঘটার কারণে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে প্রদাহের কারণে যে ব্যথা অনুভব করে তাই হাঁটু ব্যথা নামে পরি


চিত।

হাঁটু ব্যথার আরো অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন - আঘাত, হাড়ের ক্ষয় ইত্যাদি।

 হাঁটুর ব্যথার ইউনানী চিকিৎসা :

গুগ্গুলু: 

আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত প্রদাহ-বিরোধী ভেষজগুলির মধ্যে গুগ্গুলু অন্যতম। এটি অস্টিওআর্থারাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো অবস্থায় কার্যকর। হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা, ফোলাভাব, ও শক্ততা কমাতে সাহায্য করে গুগ্গুলু। 

কেশরি মারহাম ও কেশরি টেলুম:

হাঁটুর তরুণাস্থি পুনরুদ্ধারে কেশরি মারহাম ও কেশরি টেলুমের মতো আয়ুর্বেদিক পণ্যগুলি খুব কার্যকর। 

হলুদ ও চুন: 

হলুদ ও চুন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কিছুক্ষণের জন্য সর্ষের তেলে গরম করে হাঁটুতে লেপে রাখলে ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়। 

হাঁটুর ব্যথা কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান, ও ভেষজ থেরাপিও সহায়তা করতে পারে। 

হিজাম:

হাঁটু ব্যথার উত্তম চিকিৎসা হলো হিজামা। হিজামা থেরাপির মাধ্যমে শরীরের টক্সিন বের করে দিলে হাড় ক্ষয় ব্যাতিত সকল ধরনের ব্যথা উপশম করা সম্ভব।

Comments

Popular posts from this blog

অর্শ( Haemorrhoid)

           Haemorrhoid বা অর্শ  অর্শ বা পাইলস হলো পায়ূ পথের রক্তনালী ফুলে যাওয়া রোগ। মেডিকেল ভাষায় একে হেমোরয়েড বলা হয়। অর্শের লক্ষণগুলি হলো: মলত্যাগের সময় ব্যথা ছাড়াই রক্তপাত, মলদ্বার এলাকায় চুলকানি, পায়ূ এলাকায় ব্যথা বা অস্বস্তি, মলদ্বারের কাছে সংবেদনশীল বা বেদনাদায়ক পিণ্ডের উপস্থিতি, মলদ্বারের চারপাশে ফুলে যাওয়া.   অর্শ  অর্শের কারণগুলি হলো: মলত্যাগের সময় চাপ,দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকাগ,র্ভাবস্থা,স্থূলতা,কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ভাবে  অর্শ দিতে পারে; তবে অনেকের মধ্যে এই দু’টির সমন্বয় দেখা যায়।  জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে এতটা রক্তপাত আরও বিরল। সমস্যা দেখা দিলে অনেক লোকই বিব্রত বোধ করে এবং কেবল রোগের যথেষ্ট বিস্তারের পরই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে। অভ্যন্তরীণ অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস হলে সচরাচর অন্ত্রের আন্দোলনের আগে বা পরে বেদনাহীন, উজ্জ্বল লাল রেকটাল ব্লিডিং (মলদ্বারে রক্তপাত) হতে পারে।মল রক্ত দ্বারা আবৃত থাকতে পারে, যে অবস্থাকে হেমাটোকেজিয়া বলে।  অভ্যন্তরে হলে এমন এক্ষেত্রে টয়লেট...

কোমর ব্যথা

কোমর ব্যথার কারণ, উপসর্গ এবং চিকিৎসা কোমর ব্যথা খুব সাধারণ একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। জীবনে কোমর ব্যথা হয়নি, এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। দেখা গেছে, জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ লোক জীবনের কোনো না কোনো সময় এ সমস্যায় পড়েছেন। বেশির ভাগ লোকের ক্ষেত্রে কোমর ব্যথা সাধারণত ৩০ বছর বয়স থেকে শুরু হয়। এ সময়টিতে একজন আধুনিক পুরুষ ও নারী তাঁর পেশাগত জীবনে অনেক সময় ধরে বসে থাকার সঙ্গে যুক্ত হন। এ কারণে কোমরের মাংসপেশিগুলো ধীরে ধীরে তার নমনীয়তা হারাতে থাকে বলে জানিয়েছেন ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল। কোমর ব্যথা আরো ঘটে সে সব লোকের, যাঁরা পারিবারিক দায়িত্ব পালনের বোঝা কাঁধে তুলে নেন। ফলে ভোগেন মানসিক চাপে। আবেগজনিত চাপ মাংসপেশির টান ও ব্যথা বাড়িয়ে তোলে। শরীরের অন্যান্য মাংসপেশির চেয়ে কোমরের পেশিগুলো সবচেয়ে বেশি অরক্ষিত, তাই এগুলো সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর কারণ হলো এসব মাংসপেশি শরীরের অন্যান্য স্থানের মাংসপেশির তুলনায় খুব ঘনঘন ঢিলে ও সংকুচিত হয়। কোমর ব্যথা বলতে সচরাচর ‘লো ব্যাক পেইন’ বোঝায়। কোমর ব্যথার কারণ: কোমর ব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ হলো মাংসপেশি কিংবা টেনডনে মচকানি। হঠাৎ ভারী জিনিস তুললে এটা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন,...

Hijama

                হিজামা হিজামা বা হজ্জাম অথবা কাপিং নামে পরিচিত এই ভারতের জাতিগোষ্ঠী কাপিং থেরাপি অনুশীলনের জন্য পরিচিত। হিজামা শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ আল হাজম থেকে। আরব দেশগুলিতে একজন কাপিং থেরাপি অনুশীলনকারীকে হিজামা বলা হত এবং ভারতেও এই নামটি ব্যবহৃত হত। মুহাম্মদের কিছু সহকারী খিলাফত ক্ষমতার সময় পারস্য, মিশরে ইসলামের বাণী প্রচার করে।